অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা কী?অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা কেন হয় এর লক্ষণ কী

 অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা হলো তীব্র পেটে ব্যথা, যা সাধারণত পেটের নিচের ডান দিকে অনুভূত হয়। এটি অ্যাপেন্ডিসাইটিস নামে পরিচিত একটি রোগের কারণে ঘটে, যেখানে অ্যাপেন্ডিক্স প্রদাহ ও সংক্রমণের শিকার হয়।


অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা কেন হয়?

অ্যাপেন্ডিক্স হলো একটি ছোট, টিউব আকৃতির অঙ্গ যা বৃহদান্ত্রের সাথে সংযুক্ত থাকে। অ্যাপেন্ডিসাইটিস তখনই ঘটে যখন অ্যাপেন্ডিক্সের অভ্যন্তরে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায় বা কোনো কারণে বাধা সৃষ্টি হয়। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে:

বাধা: অ্যাপেন্ডিক্সের অভ্যন্তরে স্টুল বা বিদেশি বস্তু আটকে যেতে পারে, যা প্রদাহ সৃষ্টি করে।

সংক্রমণ: যেকোনো সংক্রমণ, বিশেষত পেটের সংক্রমণ, অ্যাপেন্ডিক্সকে সংক্রমিত করতে পারে।

অন্যান্য কারণ: অ্যালার্জি, পেটের আঘাত বা অটোইমিউন রোগও অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কারণ হতে পারে।

অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথার লক্ষণ

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের প্রধান লক্ষণ হলো তীব্র পেটে ব্যথা। এর পাশাপাশি অন্যান্য লক্ষণগুলিও দেখা দিতে পারে:

তীব্র ব্যথা: পেটের নিচের ডান দিকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। ব্যথা প্রথমে পেটের মাঝখানে শুরু হয়ে পরবর্তীতে নিচের ডান দিকে স্থানান্তরিত হতে পারে।

জ্বর: হালকা থেকে মাঝারি জ্বর হতে পারে।

বমি বমি ভাব এবং বমি: বমি বমি ভাব এবং মাঝে মাঝে বমি হতে পারে।

ক্ষুধামন্দা: খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়।

ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য: কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

পেটে ফোলাভাব: পেট ফোলাভাব বা ফুলে উঠতে পারে।

প্রস্রাবে সমস্যা: প্রস্রাবের সময় ব্যথা হতে পারে।

কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?

উপরোক্ত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনোটি থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অ্যাপেন্ডিসাইটিস একটি জরুরি অবস্থা, এবং এর চিকিৎসা না করলে এটি ফেটে গিয়ে পেটের ভেতরে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে, যা প্রাণঘাতী হতে পারে।

চিকিৎসা

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা সাধারণত সার্জারি বা অপারেশনের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স সরিয়ে ফেলা হয়। এ অপারেশনকে অ্যাপেন্ডেকটমি বলা হয়। এর মাধ্যমে আক্রান্ত অ্যাপেন্ডিক্সটি সরিয়ে ফেলা হয় এবং রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে।

অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা একটি গুরুতর সমস্যা, যার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। প্রাথমিক লক্ষণগুলি চিনতে পারা এবং দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া আপনার সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসা দেরি করলে জটিলতা বাড়তে পারে এবং রোগীর জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মুল্যবান বক্তব্য লিখুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪